শাল্লায় পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ যুবলীগ নেতার
11, August, 2021, 10:32:0:PM
দিরাই প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের শাল্লায় বহুল আলোচিত যুবলীগ নেতা অপুর বিরুদ্ধে এসআই শাহ আলীর সাঁজানো ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য আবারও মিথ্যা নাটক সাজানোর অপচেষ্টা করছেন শাহ আলী বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
পুলিশ এসল্ট মামলার আসামীদের পরিবারের দাবী, শাহ আলী নিজের অপকর্ম ঢাকতে শাল্লা থানার ওসি’র সঙ্গে যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপুর মোবাইলে কথোপকথনের যে অডিও প্রচার করা হচ্ছে তা অসৎ উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিভাবে তৈরী। বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করলেই প্রমাণিত হবে যে এগুলো জোড়াতালি দেয়া এবং এডিট করা অডিও ক্লিপ। রেকর্ডে পূর্বের কথাগুলো এডিট করে সাঁজানো মামলার সাথে সম্পৃক্ত করা চেষ্টা করছে বলে ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অরিন্দম চৌধুরী অপুর ভাই আইনজীবি অমিতাভ চৌধুরী জানান।
ওই অডিও রেকর্ডে অপুর মোবাইল থেকে না কি ওসি নুর আলমের সঙ্গে ঘটনা সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে অবশ্য ওসি নুর আলম বলেন, এসব বিষয়ে আমি অবগত নই। তিনি বলেন যে বা যারাই অপকর্ম করবে আইন তার ব্যবস্থা নিবে। বুধবার এই মামলার বিষয়ে তদন্ত করার জন্য সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি অফিসের একটি তদন্ত দল শাল্লায় এসেছে। এদিকে যুবলীগ নেতা অপুর ভাই এডভোকেট অমিতাভ চৌধুরী বলেন, এস আই শাহ আলী ও স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী মিলে মিথ্যা সাজানো মামলা করেছিল। এখন তারাই শাহ আলীকে বাঁচানোর জন্য আবার ও চক্রান্ত চালাচ্ছে।
তিনি বলেন ১২ জুলাই রাতে আমার বড় ভাই অরিন্দম চৌধুরী অপু গ্রেফতারের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন শাল্লা থানার হেফাজতে ছিল। গত ৮ আগস্ট অপুদার মোবাইল ফোনটি থানা থেকে আমাদের জিম্মায় নিয়ে আসি। থানা হেফাজতে অপুর মোবাইল থাকা অবস্থায় ফেইসবুক একাউন্ট, ইমেইল পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়। ৮ আগস্টের পর থেকে অপুর ফেইসবুক, ইমেইল সে ব্যবহার করতে পারছে না। ফোনটি থানায় থাকা অবস্থায় কে বা কারা অপুর কন্ঠ নকল করে বিভিন্ন অডিও ক্লিপ তৈরি করে জনমনে বিভাজন সৃষ্টি করছে। এরূপ পরিস্থিতিতে আমি সত্য উন্মোচনের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উল্লেখ্য, গত ১২ই জুলাই রাতে যুবলীগ নেতা অপু বাহিনী কর্তৃক হামলায় এসআই শাহ আলী আহত হন। রাত সাড়ে ১২টায় আঁধারে শাল্লা থানা সংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্র লীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপুর নেতৃত্বে ৭-৮ জন লোক দা, লোহার রড, লোহার পাইপ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলায় ঘটনার সময়ে ওসি নুরে আলম শাল্লার বাইরে অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর শাল্লা থানা পুলিশ কথিত যুবলীগ নেতা নাইন্দা গ্রামের অরিন্দম চৌধুরী অপু, ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের রতন দাসকে গ্রেপ্তার করে। গত ৮ই আগস্ট রোববার সুনামগঞ্জ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান যুবলীগ নেতা অপু ও রতন।