স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : করোনাভাইরাসের চরম ভয়াবহতার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপনে বাড়ি ফিরছে মানুষ। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নাড়ির টানে রাজধানী ছাড়ছেন অর্ধকোটির বেশি মানুষ। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিটি ট্রেনই মানব ট্রেনে রূপ নিয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে গন্তব্যের পানে ছুটে চলছে মানব ট্রেন। রেল স্টেশনের প্রবেশদ্বারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করলেও ভেতরের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। গাদাগাদি করে যাত্রীরা ট্রেন উঠছেন। একই চিত্র বাস ও লঞ্চের ক্ষেত্রে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার পর্যন্ত লকডাউন শৈথিল্যের প্রথম পাঁচদিনে রাজধানী ছেড়েছে ৫০ লক্ষ মানুষ। এ ধারাবাহিকতায় আজও ১০-১৫ লাখ মানুষের ঢাকা ছাড়ার কথা।
কমলাপুর রেল স্টেশনের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, নারী-শিশু, পুরুষ সবাই গাদাগাদি করে বসে আছেন। ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। যাত্রীরা গণমাধ্যমকে জানান, আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী টিকিট কেটে এসেছি। কিন্তু এখানে যে অবস্থা, টিকিট কেটেও বসার সিট তো দূরের কথা, দাঁড়ানোরই জায়গা নেই। ঈদে বাড়ি যেতে হবে তাই কিছু করার নেই এভাবেই যেতে হবে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ সারোয়ার গণমাধ্যমকে জানান, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন পরিচালনা করছি। ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে ভিড় বেশি হবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছি। কিন্তু অনেক যাত্রী টিকিট ছাড়াই ছাদে চেপে ভ্রমণ করছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি।
উল্লেখ্য, লকডাউন শিথিলের প্রথম দিন ১৫ জুলাই থেকে পরের ছয়দিনে অর্ধকোটির বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়লেও, তাদের ফিরতে হবে মাত্র একদিনের মধ্যে। কেননা, আগামী ২৩ জুলাই শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও কঠোর লকডাউন চলবে সারা দেশে।
পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষকে কর্মস্থলে ফিরতে মাত্র একদিন সময় দেয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই যৌক্তিক হয়নি। ঘরমুখো মানুষ ঢাকা ফেরার জন্য একদিনে সবাই একযোগে রওনা দিলে ভয়াবহ জনদুর্ভোগের পাশাপাশি কভিডের সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।