ক্রীড়া ডেস্ক : কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে চিলিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে স্বাগতিক ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লুকাস পাকুয়েতার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরপরই ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল। তবুও ম্যাচে ফিরতে পারেনি চিলি।
শনিবার রিও ডি জেনিরোর এস্তাদিও নিল্টন সান্তোস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ১-০ গোলের জয় পায় তিতের শিষ্যরা। ব্রাজিল গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের ৩টিতে জয় ও ১টিতে ড্র করে কোয়ার্টারে উঠেছে। অন্যদিকে চিলি ৪ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ১টিতে, ২টি ড্র করেছে ও ১টি হেরেছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লুকাস পাকেতার গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলের ব্যবধানেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেলেসাওরা।
গত তিন আসরের শিরোপা ভাগাভাগি করে নেওয়া দুই দলের লড়াইয়ের শুরুটা ছিল সাবধানী। ব্রাজিল বল নিয়ে এগুতে গেলেই বাধার সম্মুখিন হতে হয়েছে। এমনকি চিলির ডি বক্সে আধিপত্য বিস্তার করার সুযোগই মেলেনি নেইমারদের। বক্সের সামনে বল নিয়ে গেলেও শট করার সুযোগ মেলেনি স্বাগতিকদের।
ম্যাচের ১০ম মিনিটেই গোলের চেষ্টা চিলির। ম্যাচে প্রথমবার যথাযথ আক্রমণে ওঠে চিলি। যদিও ভার্গাসের শট প্রতিহত করে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসন।
১৫ মিনিটের মাথায় সিয়েরালতা বল বাড়িয়ে দেন ইসলার দিকে। রিচার্লিসন বল ধরে প্রতিআক্রমণে উঠে আসেন। লেফট উইং থেকে দূরপাল্লার শট নেন তিনি। যদিও বল সরাসরি চলে যায় চিলির গোলরক্ষক ব্র্যাভোর দস্তানায়।
২২ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত সুযোগ মিস করেন ফিরমিনো। নেইমারের দারুণ একটি ক্রস করেন। কিন্তু সেখান থেকে বল ধরার চেষ্টা করেও নাগাল পাননি ফিরমিনো।
২৭ মিনিটের মাথায় ভার্গাসের শট প্রতিহত করেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসন। ৩২ মিনিটের মাথায় চিলির রক্ষণের ভুলে আক্রমণের সুযোগ পেয়ে যান দানিলো। বক্সের সামনে থেকে গোলে শট নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বল ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।
৩৪ মিনিটে দূর পাল্লার শটে গোল করার চেষ্টা করেন পালহার। যদিও তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পাকুয়েতার গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে চিলির খেলোয়াড়দের দুর্বল চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে সহজেই জাল খুঁজে নেন তিনি। ফিরমিনোর বদলে বিরতির পর মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
৪৯তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল। অনেক উপরে পা তুলে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিলেন জেসুস। কিন্তু তার বুট গিয়ে লাগে ইউজেনিও মেনার মুখে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড। বিপজ্জনক ফাউলের জন্য তাকে লাল কার্ড দেখান আর্জেন্টাইন রেফারি পাত্রিসিও লোসতাও।
ম্যাচের ৬২ মিনিটে গোল দিয়ে বসেছিল চিলি। সমতায় ফেরার কথা তাদের এই গোলে। কিন্তু নেটে বল প্রবেশ করার আগেই ফ্যাগ তুলে ধরেন লাইন্সম্যন। ফ্রি কিক থেকে আসা বল বক্সের মধ্যে পেয়ে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন এডুয়ার্ডো ভার্গাস; কিন্তু অফসাইডের কারণে আর গোল হলো না।
৬৭ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে বল পেয়ে দুর্দান্ত এক ছুটে বল নিয়ে আসেন নেইমার। কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন চিলি গোলরক্ষক ক্লদিও ব্র্যাভো। ৬৯ মিনিটে আরেকটি দারুণ গোলের সুযোগ মিস হয় চিলির। ইউজেনি মেনা দারুণ একটি বল তুলে দেন ব্রাজিলের বক্সের মধ্যে। কিন্তু ব্রেরেটন হেড নিলে গোলরক্ষক এডারসনকে ফাঁকি দিয়ে সেটি ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।