স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকাই ছবির আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এই অভিনেত্রীর অভিযোগ লিখিত আকারে গ্রহণ করেছে পুলিশ। পরীমনি লিখিত অভিযোগটি রুপনগর থানা ও সাভার থানায় করেছেন। তবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেন, পরীমনি রুপনগর থানা ও সাভার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি যেহেতু সাভার থানার অন্তর্গত সেহেতু রুপনগরের অভিযোগটি আমরা সাভারে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে রোববার ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে অভিযোগ তোলার পর রাতে সাংবাদিকদের বনানীর বাসায় ডেকে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন এই নায়িকা।
পরীমনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত বুধবার রাতে পূর্বপরিচিত অমির সঙ্গে বোট ক্লাবে যান তিনি। সেখানে গিয়ে দেখেন নাসিরুদ্দিনসহ চার-পাঁচজন টেবিলে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। টেবিলে দুটি মদের বোতল ছিল। পরীকে মদপানের প্রস্তাব দিলে তা নাকচ করেন তিনি। পরে তাকে কফি খাইতে দেওয়া হয়। তবে, কফির স্বাদ স্বাভাবিক ছিল না। তাই তিনি কফি পান করেননি। এমনকি পরে সরবরাহ করা কোল্ড ড্রিংকসেও কিছু মেশানো হয়েছিল বলে মনে হয় পরীমনির। তিনি কোল্ড ড্রিংকসও পান করেননি। এতে ক্ষিপ্ত হন নাসিরুদ্দিন। পরীমনি ও তার সঙ্গে থাকা জেমী ওয়াশরুমে যেতে চাইলে পরীকে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি পরীমনি ও জেমী বাসায় যেতে চাইলেও বাধা দেওয়া হয়।
এই নায়িকা আরও বলেন, নাসিরুদ্দিন আমাকে লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেন এবং মুখের মধ্যে মদের বোতল ঢুকিয়ে দেন। এতে তার দাঁতের মধ্যে আঘাত লাগে এবং কিছু মদ গলার মধ্যে চলে যায়। এতে তার বুক জ্বালা করে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরীমনি ও জেমী চিৎকার ও কান্না করলে তাদের ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয় এবং গালাগালি করা হয়।
ওই রাতেই বনানী থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন পরীমনি। এমনকি পরে যারা ঘটনাটি জেনেছেন তাদের অনেকেও উল্টো তাকেই দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন এই অভিনয়শিল্পী।
তিনি বনানী থানার সহযোগিতা পাননি অভিযোগ করার পর মধ্যরাতে তার বাসায় আসেন রূপনগর থানার ওসি আরিফুর রহমান সরদারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। তারা পরীমনির কাছে ঘটনার বিবরণ শোনেন। ওসি পরীমনিকে বলছিলেন, তারা ঘটনা সাজিয়ে লেখে পরীমনিকে দেখিয়ে তার স্বাক্ষর নেবেন। পরীমনি ও তার স্বজনেরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় বারবারই ঘটনার রাতে বনানী থানায় গিয়ে সহায়তা না পাওয়ার কথা বলেছেন।