এ টি এম শামসুজ্জামানের অন্তিম ইচ্ছার কথা জানালেন স্বজনরা
20, February, 2021, 1:23:2:PM
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : এ টি এম শামসুজ্জামান মৃত্যুর আগে বলে গেছেন, তার যেন একাধিক জানাজা না হয়। যেন একবারই তার নামাজে জানাজা হয়। তার জামাতা ইমতিয়াজ আহমেদ রাশেদ জানান- ‘বাবা মৃত্যুর আগে বলেছেন, শুধু একটি জানাজা পড়াতে। তিনি নারিন্দার পীর সাহেবের মুরিদ ছিলেন। তাই তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নারিন্দার পীর সাহেব তার গোসলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। বাবা বলেছেন- তার মৃত্যুর পর গোসল, জানাজা ও দাফন নারিন্দার পীর সাহেবের হাতে যেন হয়। তার শেষ ইচ্ছে হিসেবে ছিল, সূত্রাপুরে জানাজা ও দাফন করা হবে জুরাইন কবরস্থানে।
এ টি এম শামসুজ্জামানের ছোটভাই রতন জামান জানিয়েছেন, মৃত্যুর পর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শহীদ মিনারে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হয় এবং বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাবা এসব ব্যবস্থা না করার জন্য নিষেধ করে গেছেন। তার মরদেহ শহীদ মিনার বা এফডিসিতে নিতে নিষেধ করেছেন। যেহেতু তিনি নারিন্দার পীর সাহেবের মুরিদ ছিলেন। মৃত্যুর পর তার নির্দেশ মেনে সবকিছু করার জন্য আদেশ দিয়ে গিয়েছেন বাবা। তিনি যে ঘরে থাকতেন, সে ঘরে ছিলো তার বিভিন্ন পদক, সনদ, সম্মাননা ক্রেস্টসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র। বাবার মৃত্যুর এক মাস আগে তিনি বলেন, ‘এসব জিনিসপত্র বস্তাবন্দী করে ফেলো। আমি যেখানে থাকবো না, সেখানে এসব রেখে লাভ কি!’ হয়তো, বাবা বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি শিগগিরই আমাদের ছেড়ে বলে যাবেন।
আজ শনিবার সকাল ৯টার আগে রাজধানীর সূত্রাপুরের নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন তিনি। রক্তে অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়ায় গত বুধবার সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে থাকতে না চাওয়ায় শুক্রবার বিকেলে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। এর আগেও একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। গেলো বছরের ৩০ এপ্রিল তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো।