লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুল পড়া সকল বয়সের মানুষের কাছেই অস্বস্তিকর; তবে তরুণদের কাছে এটা এক আতঙ্কের নাম। চুল পড়া একটা স্বাভাবিক বিষয়। তবে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন। স্বাস্থ্য-বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানানো হল।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন : প্রতিদিনের খাদ্যভাস পরিবর্তন করে নতুন খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হতে চাইলে অনেক পুষ্টি উপাদান বাদ পড়ে যেতে পারে। আপনার দেহের প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। চুল ভালো রাখার অন্যতম চাবিকাঠি হল প্রোটিন গ্রহণ। কারণ চুলের গোড়া প্রোটিন দিয়ে তৈরি। চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল প্রোটিনের স্বল্পতা।
ভিটামিন স্বল্পতা : ভিটামিন বি-১২ ও ডি’য়ের স্বল্পতার কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এই দুই উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে ও মাথার ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। তাই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করা যেতে পারে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ : নারীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় জন্ম বিরতিকরণ পিল বা বড়ি ব্যবহার চুলের ওপর প্রভাব রাখে। অধিকাংশ বড়িতে প্রোজেস্টেরন থাকে। যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ। তাই এই ধরনের ওষুধ নির্বাচনের আগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থা : গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন জনিত কারণে চুল পড়ার সমস্যা হয়। এই সময় চুল পড়া খুব স্বাভাবিক। তবে স্থায়ী চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে চিন্তার বিষয়। সাধারণত, সন্তান জন্মদানের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে এই ধরনের সমস্যার ঠিক হয়ে যায়।
চুল বাঁধার ধরন : চুল বাঁধার ধরন বা স্টাইলের কারণও চুল পড়ার জন্য দায়ী। সব সময় উঁচু করে খোঁপা করা বা পনিটেইল করা চুলের ক্ষতি করে। তাই চুল খুব বেশি শক্ত করে না বাঁধাই ভালো।