লাইফস্টাইল ডেস্ক : শরীরের দুর্গন্ধ মানুষকে অস্বস্তি এবং বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। ঘাম ছাড়াও দেহে দুর্গন্ধ হওয়ার আরও কারণ রয়েছে। ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন যে, শরীরে দুর্গেন্ধের জন্য দায়ী হচ্ছে বিও এনজাইম। এই বিও এনজাইম এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটিরিয়ার মধ্যে থাকে। আর এই ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধে আমাদের বাহুমূলে। সেই কারণে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এমনটাই প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। শরীরে দুর্গন্ধ হওয়ার আরও কয়েকটি কারণ আছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো কী-
পারফিউম : শরীর থেকে দুর্গন্ধ দূর করার জন্য আমরা পারফিউম ব্যবহার করি। কিন্তু এই পারফিউমও হতে পারে শরীরে দুর্গন্ধের কারণ। কিছু পারফিউম রয়েছে যেগুলোতে ব্যাকটেরিয়া দূরকারী উপাদান থাকে না। সেসব ব্যবহারের করলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া বেশি বৃদ্ধি পায়। যে কারণে তৈরি হয় দুর্গন্ধ।
ওষুধ : কোনো ওষুধ নিয়মিত খেলেও শরীরে দুর্গন্ধ হতে পারে। বিভিন্ন ওষুধের মধ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদান ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টির জন্য দায়ী।
পুষ্টিহীনতা : পেট ভরে খাওয়ার মানে কিন্তু পুষ্টির চাহিদা পূরণ নয়। বরং শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হলে প্রয়োজনীয় সব খাবার সঠিক পরিমাণ খাওয়া দরকার। শরীর পুষ্টিহীন হলে ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে। এ ছাড়া শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে ঘাম থেকে বাজে গন্ধ হয়।
সিনথেটিক কাপড় : জমকালো ভাব আনতে অনেকে সুতির কাপড়ের বদলে সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক পরে থাকেন। এটিও শরীরে দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। যদি ঘামে প্রচুর গন্ধ হয় তবে রেয়ন ও পলিয়েস্টারের তৈরি কাপড় এড়িয়ে চলাই ভালো।
কম কার্বোহাইড্রেট : ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অনেকে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দেন তালিকা থেকে। এ জাতীয় খাদ্যের অভাব হলে ঘামে দুর্গন্ধ হয়। স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ঘামের বাজে গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
মিষ্টি : মিষ্টি খেতে কে না ভালোবাসে! কিন্তু অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার শরীরে ইস্ট উৎপন্ন করে। সাধারণত অ্যালকোহলের মধ্যে যে চিনি মেশানো হয় সেটা থেকে এই ইস্ট বেশি উৎপন্ন হয়; যা ঘামে দুর্গন্ধ তৈরি করে। পাশাপাশি বেশি ঝাল খাবার খেলেও শরীরে দুর্গন্ধ হতে পারে।