স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার মাঝে মান অভিমান থাকেই। অনেক ক্ষেত্রেই স্ত্রী/প্রেমিকা উত্তেজিত হয়ে স্পষ্টভাবে অনেক শক্ত কথা বলে ফেলেন। আর এরকম ক্ষেত্রে পুরুষরা তার স্ত্রীকে খুশি করার জন্য কৌশলী হয়ে থাকেন। এমন কয়েকটি সত্য বিষয় রয়েছে যেগুলো পুরুষরা স্ত্রী বা প্রেমিকার থেকে গোপন করেন। চলুন বিষয়গুলো দেখে নেয়া যাক-
স্ত্রী বা প্রেমিকাকে বিরক্ত হলে: সাধারণত মানুষের মনমানসিকতা সব সময় এক রকম থাকেনা, ভালো থাকে না। কোন কোন সময় স্ত্রী বা প্রেমিকার উপর ভীষণ বিরক্ত হলেও প্রেমিকা বা স্ত্রীকে এটি বুঝতে না দিয়ে ভিন্নভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যান। অথচ একজন নারী যখন বিরক্ত হন তখন এই বিষয়টি স্পষ্ট করে বলতে পারেন বা প্রকাশ করতে পারেন। তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে।
পুরুষতন্ত্রের প্রত্যাশায় ক্লান্ত: সবকিছু সামলাতে এবং হাসিমুখে থাকতে গিয়ে বেশিরভাগ সময় পুরুষরা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মানসিক টানাপড়েনের বিষয়টি তারা হাসিমুখে সামলে নেন। বেশিরভাগ সময়ই এই বিষয়টি পুরুষরা প্রকাশ করতে চান না। তবে এটি তাদেরকে মাঝে মাঝে হতাশ করে তোলে।
অন্য নারীকে আকর্ষণীয় মনে হলে: অন্য কোনো নারীকে আকর্ষণীয় মনে হলেও এটি ভুলেও স্ত্রী বা প্রেমিকার কাছে প্রকাশ করেন না বেশিরভাগ পুরুষ। যদিও অন্য কোনো নারীকে দেখে আকর্ষণীয় মনে হতেই পারে এটি অপরাধের কিছু নেই। তারপরও ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই পুরুষরা এটি গোপন করেন।
অর্থনৈতিক সঙ্কট: বাড়ির অর্থনৈতিক দিকটি দেখার দায়িত্ব মূলত পুরুষদের। এজন্য আর্থিক বিষয়টি নিয়ে চাপে থাকলেও পুরুষরা এটি স্ত্রীর কাছে বেশিরভাগই গোপন রাখেন। কারণ স্ত্রীর কাছে পুরুষরা তাদের দুর্বলতা প্রকাশ করতে চায় না।
যৌন দক্ষতার অভাব: যৌনতা সম্পর্কে অভিজ্ঞতার অভাব বা কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা পুরুষরা গোপন করেন। তারা এই বিষয়টি একান্তই নিজের কাছে রাখতে চান। অনেক সময় স্পষ্ট বিষয় হওয়া সত্ত্বেও তারা স্ত্রীর কাছে এটি গোপন করেন।
অভ্যন্তরীণ কোন্দল পুরুষরা দৃঢ়চেতা হিসেবে পরিচিত। তবে তাদেরও আবেগ অনুভূতি রয়েছে। বাস্তব পরিস্থিতি যাই হোক না কেন তারা হাসি প্রকাশ করতে পারে। এজন্য স্ত্রী বা প্রেমিকার ওপর আস্থা না আনা পর্যন্ত বাস্তবতার বিষয়টি প্রত্যেক পুরুষই গোপন করার যথাসাধ্য চেষ্টা করে।