ডেস্ক রিপোর্ট : এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার গত বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমেছে। এবার ১০টি শিক্ষাবোর্ডে মোট পাশের হার ৬৯.৬০ শতাংশ। গতবছর ছিল ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। একইসঙ্গে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও কমেছে ২৭ হাজার ৭০৮ জন। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার ৬০২ জন।
রবিবার সকালে গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নেতৃত্বে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্যে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এবারও গত বছরের মতো মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার সর্বোচ্চ। এ বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ১৬ শতাংশ। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৯৪ দশমিক ০৮ শতাংশ ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ।
এদিকে, গতবারের তুলনায় এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের খারাপ ফলের জন্য পরীক্ষার সময় বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-অবরোধকে দায়ী করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার ১০ লাখ ৬১ হাজার ৬১৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন।
বিগত বছরগুলোতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বোর্ডভিত্তিক সেরা ২০ ও জেলাভিত্তিক সেরা ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হলেও, এবার প্রথমবারের মতো তা থাকছে না।
সচিবালয়ে দুপুর একটায় শিক্ষামন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করবেন। এরপর দুপুর ২টা থেকে মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করা যাবে।