ডেস্ক রিপোর্ট : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অচলাবস্থা সহসাই কাটছে না। ভিসি তার পদ থেকে একচুলও নড়তে নারাজ। অপরদিকে আন্দোলনরত শিক্ষকরাও ফল না নিয়ে ফেরতে রাজী নয়। ভিসি এবং শিক্ষকদের এ স্নায়ুযুদ্ধের বলি হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনিক কাজেও সৃষ্টি হয়েছে স্থবিরতা।
জানা গেছে, ভিসির পদত্যাগেরে দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। আটকে আছে নতুন শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতিও । দীর্ঘ ৪ মাস ধরে হচ্ছে না কোনো সিন্ডিকেট বা একাডেমিক সভা। ভিসি প্রফেসর আমিনুল হক ভুইয়ার পদত্যাগের দাবিতে সরকার সমর্থিত শিক্ষকদের একাংশের আন্দোলনের ফলে এ অবস্থান সৃষ্টি হয়।
একদিকে ভিসি সরকারের আস্থাভাজন। অন্যদিকে আন্দোলনরত শিক্ষকরাও সরকারি দলের সমর্থক। ফলে সরকারও পড়েছে বেকায়দায়। আর ক্ষতির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র জানায়, গত ১৫ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজ সর্ম্পকিত” মাত্র দুই শতাধিক ফাইল স্বাক্ষরিত হয়েছে, যেখানে স্বভাবিক অবস্থায় প্রতি ১৫ দিনেই ৩ শতাধিক ফাইল স্বাক্ষর হয়ে থাকে।
সূত্র আরো জানায়, ভিসির পদত্যাগের দাবিতে সরকার সমর্থক একাংশের শিক্ষকদের আন্দোলন শুরু করে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে। আন্দোলনের মুখে ভিসি দুইমাস ছুটিতে যান এবং ২২ জুন তাঁর কার্যালয়ে ফিরে আসেন।
খবর পেয়ে শিক্ষকরা ভিসি অফিসের সামনে ধারাবাহিক অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন। এর ফলে ভিসি অফিস করতে পারেননি।
পরবর্তীতে ২৩ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রীর সাথে আলোচনা শেষে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। এর পর ভিসি ২৬ জুলাই থেকে অফিসে যোগদান করে আসছেন।
২৩ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ভিসি শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। যদিও ভিসি দাবি করছেন, তার কাছে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা সম্পর্কিত চিঠি আসেনি।
সেইসাথে তিনি বলেছেন, শুধু প্রশাসনিক পদগুলোতে নতুন করে নিয়োগ না দেয়ার জন্য মৌখিকভাবে তাকে বলা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার দপ্তরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মনে করেন, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা এবং শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণেই প্রশাসনিক কাজে এ স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইসফাকুল হোসেন বলেন, রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাজ স্বাভাবিকভাবেই চলছে। এখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।