ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ছেলের কাছে খাবার চাওয়ার অপরাধে এক নরপিশাচ ছেলে তার জন্মধাত্রী মাকে আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে। মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এক মা তাসলেমা খাতুন (৯৮) ক্ষুধার্ত অবস্থায় এক মুঠো খাবারের জন্য নিজ সন্তান বদিরউদ্দীন ও সন্তানের বৌয়ের কাছে যান। কিন্তু খাবার পান নি। উপরন্তু খাবার চাওয়ার অপরাধে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এ সময় বৃদ্ধ মাকে ছেলে মারপিট করে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।
গ্রামবাসী বৃদ্ধ আহত তাসলেমা খাতুনকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গ্রামবাসীরা জানান, ডাঙ্গীপাড়া এলাকার মৃত সফিরউদ্দীনের স্ত্রী বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুন। স্বামী মারা যায় ৩০ বছর আগে। মারা যাওয়ার সময় তার স্বামী দুই ছেলে দুই মেয়ে রেখে যায় এবং দুই ছেলের নামে ৩ একর ৩০ শতাংশ জমি দিয়ে যায়।
বড় ছেলের ছেলে (নাতি) ভুল বুঝিয়ে বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুনের কাছ থেকে জমিগুলো দলিল করে নেয়। বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুন চোখে ঠিক মতো দেখেন না, কানে তেমন শোনেন না কথাও ঠিকমতো বলতে পারেন না বয়সের ভারে। এই অবস্থায় তাকে প্রায় নির্যাতন করতো বৃদ্ধের ছেলে ও বউমা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বৃদ্ধা তাসলেমা খাতুন ক্ষুধার্ত ছিলেন। তখন তিনি বড় বউমার কাছে ভাত চাইতে গেলে গালিগালাজ শুরু করে বৌমা। পরে ছেলে বদিরউদ্দীন ভাত চাওয়ার জন্য বৃদ্ধা মায়ের মুখে আঘাত করে। ঘটনাস্থলে বৃদ্ধা মায়ের বাম চোখের নিচের অংশ রক্তাক্ত হয়ে যায়। পরে ছেলে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় নিজ মাকে।
এই বিষয়ে বৃদ্ধা মায়ের ছোট ছেলে হরিপুর উপজেলা শাখার বিআরডিবির কর্মচারী মোসলেমউদ্দীন (সুধু) মুঠো ফোনে বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। এভাবে মাকে মারধোর করা ঠিক হয়নি।
হরিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।