স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন অথচ মুখ গুজে আছেন স্মার্টফোনে! সাবধান এর কারণে সম্পর্কে নেমে আসতে পারে অশান্তি। কারণ গবেষকরা বলছেন, স্মার্টফোনের ব্যবহার প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে, বাড়িয়ে দিতে পারে দুশ্চিন্তার মাত্রা।
টেক্সাসের বেলর ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেমস রবার্টস জানাচ্ছেন, “এর পরিণতি স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতো। মোবাইল ফোন ব্যবহারের মতো সামান্য বিষয়ই আমাদের জীবন থেকে সুখ ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।” প্রেমের সম্পর্কে সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করা এবং এই কারণে সঙ্গীর প্রতি অমনোযোগী থাকার প্রভাব পরিমাপ করতে এই গবেষণা করা হয়। এই পর্যালোচনার জন্য গবেষকরা আমেরিকার মোট ৪৫৩ জন প্রাপ্তবয়সির অংশগ্রহণে দুটি পৃথক গবেষণা করেন। রবার্টস বলেন, “যখন কেউ বুঝতে পারেন যে, স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে সঙ্গীর প্রতি মনোযোগ নেই, তখনই যত সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং সম্পর্কে সন্তুষ্টির মাত্রা কমে আসে।”
৩০৮ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে করা প্রথম গবেষণায় স্মার্টফোন ব্যবহার বিষয়ক সমস্যাগুলি পরিমাপের একটি মানদ- তৈরিতে গবেষকদের সাহায্য করে। এই মানদ-ে ছিল স্মার্টেফোনের নয় ধরনের ব্যবহার যা বিরক্তিকর হিসেবে চিহ্নিত। আর ১৪৫ জন অংশগ্রহণকারীর উপর গবেষণায় মাপা হয় দম্পতিদের মধ্যে এই সমস্যা কতটা প্রচলিত। ফলাফলে দেখা যায়, ৪৬.৩ শতাংশই ফোনের কারণে সঙ্গীর অমনোযোগী ব্যবহারের শিকার হয়েছেন এবং এরমধ্যে ২২.৬ শতাংশই জানিয়েছেন যে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের ৩৬.৬ শতাংশই বলছেন তারা এই কারণে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মানসিক চাপে ভুগেছেন।
বেলর ইউনিভার্সিটির হানকামার স্কুল অফ বিজনেসের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেরেডিথ ডেভিড বলেন, “জীবনে সেল বা মোবাইল ফোনের কারণে খানিকটা সময় মনোযোগ সরে যাওয়াটা তেমন কোনো বিষয় বলে মনে হয় না।” তবে গবেষণা মোতাবেক, স্মার্টফোনের দিকে মনোযোগ থাকার কারণে দম্পতিদের একত্রে সময় কাটানো যত বেশি বিঘ্নিত হয়, তাদের সম্পর্কে সন্তুষ্টির মাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কা ততটাই বেড়ে যায় বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।-ওয়েবসাইট।